১১ লাখ প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপনে আগ্রহী জাপানি প্রতিষ্ঠান

ঢাকায় তিতাস গ্যাস ও চট্টগ্রামে কর্ণফুলি ডিস্ট্রিবিউশনের এলাকায় ১১ লাখ ৩৫ হাজার প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপানের আর্থিক প্রতিষ্ঠান জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি)।

সোমবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এ বিষয়ে একটি কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি (নন বায়িন্ডিং) সই হয়েছে।

প্রাথমিক আলোচনা অনুযায়ী, তিতাসের জন্য ৭ লাখ এবং কর্ণফুলির জন্য ৪ লাখ ৩৫ হাজার প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব মো. নূরুল আলম জানান, এ নিয়ে জাপানি কোম্পানির সঙ্গে বিনিয়োগের চূড়ান্ত চুক্তি হতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে।

সম্প্রতি আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ১২ লাখ ২৮ হাজার প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন প্রকল্প অর্থায়নের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। এর মধ্যে তিতাসের বিতরণ অঞ্চলে ১১ লাখ এবং পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিতরণ অঞ্চলে ১ লাখ ২৮ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

বর্তমানে দেশে গ্যাসের মোট ৪৩ লাখ আবাসিক গ্রাহকের মধ্যে প্রায় চার লাখ গ্রাহক ইতোমধ্যে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় এসেছে। এর মধ্যে তিতাসের ২৮ লাখ গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখ ৩৩ হাজার এবং কর্ণফুলি ডিস্ট্রিবিউশনের ৬০ হাজার গ্রাহক প্রি-পেইড গ্যাস মিটার ব্যবহার করছেন।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের সুষ্ঠু ব্যবহারে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতেই হবে। বাংলাদেশের আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ৩০ লাখ স্মার্ট গ্যাস মিটার লাগবে। জাপান ব্যাংক, বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের সহযোগিতায় মিটার লাগাতে পারলে গ্যাসের অপচয় রোধ করা যাবে।

অনুষ্ঠানে জেবিআইসির মহাপরিচালক সুজুকি রাইউতা বক্তব্য রাখেন।