বাংলাদেশ আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ৬৮ কোটি ২০ কোটি ডলার পেয়েছে 

রাজনৈতিক অস্থিরতা, আর্থিক অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তের পর ঋণের অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ।

আইএমএফের ঋণের  অন্যতম শর্ত অনুসারে সরকার ঘোষিত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে স্থানীয় বাজারে। এতে জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা আশংকা করছেন।

আই্এমএফ-এর ঋণের শর্তাবলী মেনে চলার জন্য বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মার্চ থেকে কার্যকর আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সংযুক্ত একটি স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে। এই ব্যবস্থার জন্য খসড়া চূড়ান্ত করা হবে যা পরবর্তীতে আইএমএফ-এর বোর্ড সভার সাথে মিলে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রক্রিয়াাটি কার্যকর করবে।

এর আগে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয় আইএমএফের পর্ষদ। সাত কিস্তিতে ৪২ মাসে এ ঋণ পাওয়ার কথা রয়েছে। ঋণের গড় সুদের হার ২ দশমিক ২ শতাংশ। গত ফেব্রায়ারিতে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বুঝে পায় বাংলাদেশ। গোটা প্যাকেজে দুই ধরনের ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে বর্ধিত ঋণ সহায়তা বা বর্ধিত তহবিল (ইসিএফ অ্যান্ড ইএফএফ) থেকে পাওয়া যাবে ৩৩০ কোটি ডলার। রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় পাওয়া যাবে ১৪০ কোটি ডলার। ২০২৬ সাল পর্যন্ত এ ঋণ কর্মসূচি চলাকালীন বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের শর্ত পরিপালন ও সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।

গত বছরের ৩০ আগস্ট এক নির্বাহী আদেশে সরকার প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৯ টাকা, পেট্রোল প্রতি লিটার ১২৫ টাকা এবং অকটেন প্রতি লিটার ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে। এরপর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ওঠানামা করলেও কোনো পরিবর্তন করেনি সরকার। যদিও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিআরসি) সৌদি আরামকোর ঘোষিত ভোক্তা মূল্য অনুযায়ী ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য নির্ধারণ করে আসছে।