ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দাবিতে ‘মুক্তির যাত্রা’

ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দাবিতে লেখক-শিল্পী-শিক্ষক-সাংবাদিকদের উদ্যোগে শুক্রবার রাজধানীতে ‘মুক্তির যাত্রা’ নামে কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

এ দিন বিকেল ৪টায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয় মুক্তির যাত্রা। যা হাইকোর্ট, মৎস ভবন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।

মুক্তির যাত্রায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, সংগীতশিল্পী অরূপ রাহী, লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ, লেখক রাখাল রাহা, লেখক ও সংগঠক বাকী বিল্লাহ, সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, প্রকাশক সাঈদ বারী, লেখক জিয়া হাশান, শিল্পী অমল আকাশ, বীথি ঘোষ, রাহমান মুস্তাফিজসহ শতাধিক লেখক, শিল্পী, কবি, সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক কর্মী।

মুক্তির যাত্রার সামনে ছিল শিল্পী অমল আকাশের নির্দেশনায় ‘রুদ্ধ গণতন্ত্র’ শিরোনামে শিল্প প্রদর্শনী। ‘খাঁচাবন্দী ব্যালট বাক্স’ কাঁধে নিয়ে কয়েকজন শিল্পী কালো পোশাক ও মুখোশ পরে মুক্তির যাত্রার সঙ্গে শাহবাগ পর্যন্ত হেঁটে যান।

মুক্তির যাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে সরকার। যা বাংলাদেশকে এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে ফেলবে। একতরফা নির্বাচন আয়োজন থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।

তারা সরকারেরর সমালোচনা করে বলেন, একটি কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে যেখানে মানুষের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। বিরোধী দল বিএনপির ওপর চলমান অভিযানেরও নিন্দা জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

এর আগে ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দাবিতে লেখক-শিল্পী-শিক্ষক-সাংবাদিকরা ‘গানের মিছিল’ আয়োজন করেন। ওই মিছিল শাহবাগ থেকে নেূর হোসেন চত্বরে যাওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনেই তাদের থামিয়ে দেয়।