একদিনে বিএনপির ৬৫ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

একদিনে বিএনপির ৬৫ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় একদিনেই বিএনপির ৬৫ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভিন্ন ভিন্ন রায়ে এই দণ্ড দেওয়া হয়। এরমধ্যে কলাবাগান থানার মামলায় ৪০ জন এবং বংশাল থানার মামলায় ২৫ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০১৩ সালে রাজধানীর কলাবাগান থানার নাশকতার মামলায় পৃথক তিন ধারায় বিএনপি ৪০ নেতাকর্মীর দেড় বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত। রায়ে ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম, শাহ আলম সৈকত, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, নোমান, এলিন, ওয়াসিউল হাসিব অনিক, পলাশ হাওলাদার, আমিরুল বেপারী চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, আলমগীর হোসেন, রিপন আহাম্মেদ, আশরাফুল ইসলাম, শাহপরান, মাহমুদুল হাসান রুম্মান, কামাল, ফারুক, ফরহাদ, ইসমাইল শেখ, জুয়েল, শফিকুল ইসলাম, বাচ্চু মিয়া, রবিউল ইসলাম, মোস্তফা, রুবেল, রুবেল হোসেন ওরফে সোহেল, সিদ্দিক, ফয়সাল, শহিদুল, রাসেল, আব্দুল লতিফ, রুবেল, মনির হোসেন, রিয়াজুল হাসান রাসেল, রাজীব হাসান শিবলু, মাহফুজ ওরফে চঞ্চল, জসিম রানা ওরফে জসিম, জুবায়ের হোসেন, অনুপ চন্দ্র রায় ও রবিউল ইসলাম নয়ন।

রায়ে দণ্ডবিধি আইনের ১৪৩ ধারায় ৪ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০০ টাকা জরিমানা, অনাদায় ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১৪৭ ধারায় ১ বছরের সশ্রম করাদণ্ড, ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায় ১০ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৮৬ ধারায় ২ মাসের সাশ্রম কারাদণ্ড, ২০০ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ২ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর বেআইনি সমাবেশ, দাঙ্গার সৃষ্টি ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে কলাবাগান থানায় রাজনৈতিক মামলাটি দায়ের করা হয়।

অপরদিকে রাজধানীর বংশাল থানা এলাকায় বেআইনি সমাবেশ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীকে পৃথক দুই ধারায় তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোহেল, রাজু, হাজী সিরাজ, মামুন, রনি, মঈন, হাজী মো. মাছুম, গলাকাটা আজিম, ওমর ফারুক, রাজিয়া আলম ওরফে রাজিয়া সুলতানাসহ প্রমুখ। দণ্ডবিধির এক ধারায় তাদের আড়াই বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই আইনের আরেক ধারায় ছয় মাস করে কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

পুলিশের অভিযোগ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিরা বংশাল থানার ১০৩ নম্বর এনসিসি রোডের সামনে মিছিল বের করে। তারা গাড়ি ভাঙচুর, দোকানপাট ভাঙচুর করে।

ওই ঘটনায় বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক আজাহার হোসেন মামলা করেন। ২০১৯ সালের ৩০ জুন মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এরপর বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।