জামিনে বের হয়েই নৌকার প্রার্থী শাহজাহান ওমর

ছবি সংগৃহীত

মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন শাহজাহান।  ঘোষণার পরপরই তাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। 
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাওরানবাজারের ইউটিসি ভবনে শাহজাহান ওমর সাংবাদিকদের জানান, তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন। আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তারপর আওয়ামী লীগ তাকে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 
শাহজাহান ওমর বলেন, জিয়ার রাজনীতি থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি আরো উন্নত। তাই নৌকার হয়ে ভোট করব। 
তার এ ঘোষণার পর দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তাই বিএনপির গঠনতন্ত্র মোতাবেক মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 
 ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন জানান, শাহজাহান ওমর ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর আগে এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বিএইচ হারুনও ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নপত্র জমা দেন।

গত ৪ঠা নভেম্বর রাজধানীর একটি বাসা থেকে সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান ওমরকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন তাকে ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। এরপর গত ৯ নভেম্বর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ সদস্য হত্যা ও অগ্নিসংযোগের নির্দেশদাতা হিসেবে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাসে আগুন দেওয়ার মামলায় জামিন পেয়ে বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি ছাড়া পান বিএনপির বহিষ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর। 
তবে একই দিনে তবে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন (আলাল) ও খায়রুল কবীর খোকনের জামিন আবেদন নাকচ হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবরে নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় করা বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তারা কারাগারে আছেন।
এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনও নামঞ্জুর করে আদালত।