রাজশাহীতে রিজভীর পিকেটিং, বললেন এ মাসেই সরকারের পতন

রাজশাহীতে রিজভীর পিকেটিং, বললেন এ মাসেই সরকারের পতন

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে নবম দফার হরতাল-অবরোধের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঢাকায় মিছিল করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে নির্বিঘ্নে মিছিল সেরেছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে আহত রিজভী এবার ছুটে গেলেন রাজশাহীতে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে অবরোধের সমর্থনে রাজশাহী মহানগরীর তেরোখাদিয়া স্টেডিয়ামের সামনে থেকে সিটি হাট রোডের ডাবতলার মোড় পর্যন্ত মিছিলে নেতৃত্ব দেন রিজভী। এসময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, স্বৈরাচার এরশাদের মতো এ মাসেই অবৈধ সরকারের পতন হবে। 

এতদিন ঢাকায় থেকে হঠাৎ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাবেক ভিপির বিভাগীয় শহরে ছুটে যাওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

সাতসকালে মিছিল শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন,  'জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ আবারও সন্ত্রাসী কায়দায় জনগণের ভোটাধিকার হরণের সব পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। তবে জনগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপিসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক দল চূড়ান্ত আন্দোলনে শামিল হয়ে সব অপচেষ্টা বানচাল করে দেবে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।'

বিরোধী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের জেলজুলুম চালিয়ে এবার শেষ রক্ষা হবে না এমনটা দাবি করে তিনি বলেন, ‘১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ যেমন জনরোষ থেকে বাঁচতে পারেননি, পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। এ সরকারও জনরোষ থেকে বাঁচতে পারবে না। বিজয়ের মাসেই (ডিসেম্বর) তাদের পতন হবে। তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে হবে তারা।’

সরকারের পদত্যাগ, একতরফা পাতানো নির্বাচনের তফসিল বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিএনপির ডাকা দশম দফা অবরোধের প্রথম দিন চলছে বুধবার।

রিজভীর নেতৃত্বে অবরোধের সমর্থনে এই মিছিলে রাজশাহী জেলা যুবদল ও জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

মিছিলে অংশ নেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, শাহনেওয়াজ খুরশিদ রিজভী, বাগমারা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মালেক মানিক, বাগমারা উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শহিদুজ্জামান মুকুল, ভবানীগঞ্জ পৌরসভা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল হোসেন, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল আহমেদ বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদ হোসেন, মুনজুর রহমান রেন্টু, ইব্রাহিম হোসেন, সদস্য মিনারুল ইসলাম, বাগমারা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান টিপু, ভবানীগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ডিএম শাহীন, যুগ্ম আহ্বায়ক দুলাল হোসেন,রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান রুবেল, হাফিজুর রহমান হাফিজ, নাজমুল হোসেন, উজ্জ্বল হোসেন,মোতালেব হোসেন, ফায়সাল হোসেন, বাগমারা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহব্বত হোসেন, তাহেরপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোহেল রানা, যুগ্ম আহ্বায়ক ইসাহাক আলী, দূর্গাপুর পৌর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সোয়াদ আলী, পবা উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, গোদাগাড়ী পৌরসভা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মবিন, যুবদল নেতা ইয়ামিন আলী, রাকিব হাসান, আসলাম হোসেন, আব্দুল মনিম রবি, বাবুল হোসেন, রায়হানুল হক, আসাদুল ইসলাম, মনির হোসেন, ইনতাজ আলী, খলিলুর রহমান, সজল আলী, মুনসুর রহমান, জালাল উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা রায়হান আলী, আরাফাত রহমান তিতু, পিন্টু আলী, রাফি আহমেদ, রায়হান সরকার, আরিফুল ইসলাম, পলাশ আহমেদ, শাকিল আহমেদ, শাহীন রেজা, মধু ইসলাম, আতিক হাসান, শিমুল আহমেদ প্রমুখ।