এমপি হওয়ার পর পেয়েছেন জাদুর চেরাগ, নগদ অর্থ বেড়েছে সাড়ে ৪ গুণ

এমপি হওয়ার পর পেয়েছেন জাদুর চেরাগ,নগদ অর্থ বেড়েছে সাড়ে ৪ গুণ

মাদারীপুরের একাংশ, কালকিনি ও ডাসার উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-৩ নির্বাচনী এলাকা। এই নির্বাচনী এলাকা থেকে ২০১৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুস সোবহান গোলাপ। তিনি তার নির্বাচনী হলফনামায় তার স্ত্রী ও নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরনী পেশ করেন। আর এতেই বেরিয়ে এসেছে এমপি হওয়ার পর তার আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার তথ্য। এই ক’বছরে ফুঁলে ফেঁপে উঠেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই নেতা। 

হলফনামা মোতাবেক আবদুস সোবাহান মিয়ার এমপি হওয়ার আগে ২০১৮ সালে কোনো গাড়ি ছিল না। তবে এমপি হয়ে কিনেছেন কোটি টাকার গাড়ি। এসব তথ্য মিলেছে নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে। ২০১৮ সালে তার নিজের নামে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ছিল ৫১ লাখ ৯ হাজার ৬৯০ টাকা। বর্তমানে তার জমা অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৯৩১ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ২৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৮ টাকা। তার সম্পদের বিবরণী বিশ্লেষণ করে জানা গেছে আবদুস সোবাহান মিয়ার নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৪ দশমিক ৩১ গুণ।

২০১৮ সালে তার নগদ টাকা ছিল ৭৯ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৬ টাকা এবং স্ত্রীর গুলশান আরার নামে ছিল এক কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ১৩১ টাকা। ২০২৩ সালে তার নগদ টাকা কমেছে। বর্তমানে তার নগদ টাকা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ২৮ হাজার ৬১৪ টাকা। তবে স্ত্রীর টাকা বেড়েছে। তার স্ত্রীর নামে নগদ টাকা রয়েছে এক কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার ১৩ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামা মোতাবেক তার স্ত্রীর কাছে ৯৮ হাজার ১১৮ ইউএস ডলার থাকলে চলতি বছরে তার কাছে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা নেই বলে জানা গেছে। 

তবে আবদুস সোবহানা মিয়া গোলাপের আগের হলফনামা মোতাবেক আগে কোনো গাড়ি না থাকলেও বর্তমানে তার একটি টয়োটা হ্যারিয়ার জিপ রয়েছে। যার বাজার মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে ৯০ লাখ ৬৪ হাজার ২৪৭ টাকা। আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ ও তার স্ত্রী গুলশান আরার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৮ সালে তার নিজের নামে জমা ছিল ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ছিল ৫১ লাখ ৯ হাজার ৬৯০ টাকা। বর্তমানে তার জমা অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৯৩১ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ২৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৮ টাকা। অপরদিকে তার নামে ২০১৮ সালে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার ছিল ২ কোটি ৬৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭২ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৫ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

২০২৩ সালে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার রয়েছে এক কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৯২ টাকা এবং স্ত্রীর নামে রয়েছে ৫ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকার। এছাড়া মিরপুর এবং উত্তরাতে তার দুটি দালান রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।

জেলা নিবার্চন কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, আমাদের কাছে তার সম্পদের তালিকা যেভাবে দিয়েছে সেভাবেই হলফনামায় তথ্য দেওয়া হয়েছে।