গোয়েন্দা উপগ্রহ এবার হোয়াইট হাউজ, পেন্টাগনের ছবি পাঠিয়েছে: উত্তর কোরিয়া

দশকের পর দশক ধরে বিদেশি রাষ্ট্রের গোয়েন্দা উপগ্রহের নজরদারি এবং পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকা উত্তর কোরিয়া নিজেদের প্রথম গোয়েন্দা উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়ে বিশ্বকে এই বার্তা দিয়েছে: এবার আমরাও তোমাদের দেখতে পাচ্ছি। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়াত্ত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ মঙ্গলবার জানায়, দেশটির নেতা কিম জং উন তাদের গোয়েন্দা উপগ্রহের পাঠানো হোয়াইট হাউজ, পেন্টাগন এবং নরফোক নৌঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীর ছবি পর্যবেক্ষণ করেছেন।

গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া সফলভাবে তাদের প্রথম নজরদারি উপগ্রহ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে। যেটির নকশা করাই হয়েছে মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক পদক্ষেপের উপর নজর রাখতে।

গোয়েন্দা উপগ্রহটি উৎক্ষেপণের পর থেকে কেসিএনএ নিয়মিত সেটির কার্যক্রমের খবর প্রকাশ করে যাচ্ছে। এর আগে সেটি দক্ষিণ কোরিয়া, গুয়াম, ইতালির বিভিন্ন নগরী এবং সামরিক ঘাঁটিগুলোর ছবি পাঠানোর কথা জানিয়েছে। এমনকি, উপগ্রহটি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীর ছবি পাঠিয়েছে বলে এর আগেও দাবি করা হয়েছে।

উত্তর কোরিয়াকে লক্ষ্য করে তৈরি করা ওয়েবসাইট এনকে  নিউজ এর প্রতিষ্ঠাতা শাদ ও’ক্যারল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) এ এক পোস্টে লেখেন, “মনে পড়ে (শৈশবে) যখন আপনি সেই খেলনাটিই হাতে পেয়ে গেলেন যেটিকে সবসময় আপনি ক্রিসমাসে চাইতেন, তখন এতটাই উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলেন যে আপনি সেটি সম্পর্কে সবাইকে বলেই যেতেন, বলেই যেতেন?"

কেসিএনএ গোয়েন্দা উপগ্রহের ছবি পাঠানোর কথা বললেও এখন পর্যন্ত সেটির পাঠানো কোনো ছবি প্রকাশ করেনি। তাই নানা বিশ্লেষক এবং বিদেশি সরকারগুলো এখনো উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা উপগ্রহ বাস্তবে কাজ করছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে যাচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার নজরদারি উপগ্রহ মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় পড়ে গেছে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া। তারও মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় নিজেদের প্রথম গোয়েন্দা উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে চলেছে।

আগামী ৩০ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম গোয়েন্দা উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা উৎক্ষেপণের তারিখ বিলম্ব করার ঘোষণা মঙ্গলবার জানিয়েছে দেশটি।